October 8, 2025, 3:49 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ।
পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল জানান, চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাকে ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পান নি তিনি।
এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তে আরো ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারো নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি। তবে একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, এজাহারের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হন।
১০ আগস্ট নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। এতে ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ এবং সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।